ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

সেভেন মার্ডার তদন্তে খাগড়াছড়িতে মানবাধিকার কমিশন 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫৮, ২৭ আগস্ট ২০১৮

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় সাতজনকে হত্যার ঘটনা তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল সেখানে পৌঁছেছে।

আজ সোমবার তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলটি দুদিনের সফরের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল স্বনির্ভর বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন।  

প্রতিনিধিদলে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্য ও অনুসদ্ধান কমিটির আহ্বায়ক নুরুন নাহার ওসমানি, কমিশনের সদস্য বঞ্চিতা চাকমা ও রবিউল ইসলাম।

এ সময় সেখানে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আবু ইউছুফ ও সদস্য সচিব সৈয়দ শামছুল তাবরীজ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা স্থানীয় ব্যবসায়ী, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-প্রসিত খিসা) সমর্থিত দলের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে ঘটনার দিনের বর্ণনা শুনেন। পরে বিকেলে তাঁরা এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজুরি চাকমার বক্তব্য শুনেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যদের খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে কথা বলারও কথা রয়েছে।

স্বনির্ভর এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদলের আহ্বায়ক নুরুন নাহার ওসমানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিষয়টির তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে মানবাধিকার চেয়ারম্যানের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেব।’

গত ১৮ আগস্ট সকালে সদর উপজেলার স্বনির্ভর বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় ছয়জন নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আরো তিনজন। একইদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে আরেকটি সমাবেশে হামলায় আরো একজন নিহত হন।

নিহতরা সবাই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-প্রসিত খিসা) সদস্য বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও জেলা সমন্বয়কারী মাইকেল চাকমা। তিনি এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এম এন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেছেন।

যদিও এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন জেএসএস-এম এন লারমার নেতারা।

ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আবু ইউসুফকে আহ্বায়ক এবং খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মো. শামছুল তাবরীজকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—খাগড়াছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নয়নময় ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন মজুমদার।

ঘটনার দুদিন পর ২০ আগস্ট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এসি 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি